ঢাকার অলিগলিতে থাকা আবাসিক হোটেলের সাইবোর্ড লাগিয়ে দিনরাত দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে অনেক হোটেল মালিক। অধিক লাভের আশায় হোটেল মালিক, কর্মচারী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এমনকি প্রশাসন পর্যন্ত জড়িত হয়ে পড়ছে এই ব্যবসায়। হোটেল সুরমা(আবাসিক) এমনই একটি আবাসিক হোটেল। ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ি মাওয়া রোডে অবস্থিত ”হোটেল সুরমা” আবাসিক হোটেলের নামে এই পতিতাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিকারে।
বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, এই হোটেল বিল্ডিংয়ের দোতালায় প্রায় ৮/১০ জন পতিতা রয়েছে। যারা দোতালার বিভিন্ন রুমে থাকে। হোটেলের রিসিপশনে থাকা ম্যানেজার সহ ৪/৫ জন দালাল কাস্টমার নিয়ে দোতালার রুমে যায়। সেখানে প্রতি রুমে গিয়ে মেয়ে দেখায়। তারপর পছন্দসই মেয়ের সাথে কাস্টমারকে রুমবন্দি করে দেয়। মেয়ে নিয়ে একবার যৌনকাজ করার জন্য ৫০০ টাকা ও প্রতি রাত মেয়ে নিয়ে থাকার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ ৩০০০ টাকা নেয়। এই ভাবে তারা প্রতিনিয়ত পতিতাবৃত্তি করে যাচ্ছে। রুমে থাকা বোর্ডারের অতিরিক্ত আয়েশের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ সকল ধরণের নেশা দ্রব্যাদি(ইয়াবা, গাঁজা, বিয়ার ও মদ) সরবরাহ করে থাকে।
তাছাড়া অল্প বয়সী কিশোর কিশোরিদের একসাথে থাকার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সাপেক্ষে রুম ভাড়া দেয়া হয়। এমনকি স্কুল অথবা কলেজ ড্রেস পড়–য়া শিক্ষার্থীদের একসাথে যৌনকাজ করার জন্য রুম ভাড়া দিয়ে থাকে। ফলে সমাজে বাড়ছে ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তির সংখ্যা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেলের সামনে রিসিপশনে ৫/৬ জন দালাল বসে আছে। তারা ক্যামেরা নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়লে হোটেল মালিক সাইদুল ইসলাম সকল কথা নাকোচ করে দিয়ে বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল উচ্চ পর্যায়ে টাকা দিয়ে সে ব্যবসা পরিচালনা করে। সে তার হোটেলে যাকে ইচ্ছা প্রবেশ করতে দিবে, যাকে ইচ্ছা দিবে না। সে সকল ব্যবসায়ীদের বাবা বলে নিজেকে দাবী করেন। তাছাড়া প্রশাসনের সানিধ্যে থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করে বলে তিনি দাবি করেন।
তাছাড়া হোটেলের অন্যান্য মালিকদের সাথে কথা বললে তারাও বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে চলে যান।